Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মিশন ও ভিশন

ভিশন ও মিশন

উপজেলা সমবায় কার্যালয়,বরগুনা সদর, বরগুনার মিশন ও ভিশন

বাংলাদেশ সংবিধানের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক সেক্টর হচ্ছে সমবায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান শুধু একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেনি,সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে রেখে গেছেন অর্থনৈতিক দর্শন। রক্তে ভেজা সংবিধানেই স্থান দিয়েছেন দারিদ্র্য মুক্তির পথ নির্দেশনা। বৈষম্য তাড়াতে ব্যক্ত করেচেন প্রতিশ্রæতি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ছিলেন নির্ভীক।রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দারিদ্র্য দূরের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। ভূমি ব্যবস্থাপনায় আমূল সংস্কার,শিল্প বিকাশে নয়া উদ্যোগ,ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রদান,কৃষির আধুনিকায়নে সমন্বিত কর্মসূচী গ্রহণ,সমবায় চেতনা বিকাশে শুরু করেছিলেন কর্মযজ্ঞ। সুশাসন প্রতিষ্ঠা,দোরগোড়ায় সরকারী সেবা পৌছে দেওয়া,মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা,নারী জাগরন কর্মসূচী ছড়িয়ে দিতে সবসময় বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় ছিল সাধারণ জনগন। পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠিকে মূলধারায় আনতে গ্রহণ করেন নানা পদক্ষেপ। উন্নয়ন ভাবনায় দর্শন বরাবরই প্রভাব বিস্তার করে। আর সেখানেই পরিস্ফুটিত হয় ভবিষ্যৎ বিকাশের রেখা। ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মতবাদ’ বইটি তা গুরুত্বের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পর থেকে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন নিয়ে বিভ্রান্তির চেষ্টা চলেছে। কখনও কখনও তদানীন্তন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এর অসারতা প্রমাণের ধু¤্রজাল তৈরী করা হয়েছে। এ ধরণের অপপ্রচারে সাময়িক জটিলতা তৈরী হলেও তা স্থায়ী হয়নি। নতুন প্রজন্ম কুয়াশা ভেদ করে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের বিষয়টি এখনও সামনে আনতে উদ্যোগী। বইটি বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মতবাদের বিশ্লেষন রয়েছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গঠনের নেওয়া উদ্যোগের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ও স্থান পেয়েছে বইটিতে। উন্নয়নশীল দেশের অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন এখনও প্রাসঙ্গিক। মৌলিক চাহিদা মেটাতে সরকারের কেমন হওয়া উচিত,সামাজিক সুচকে আমাদের কেমন অগ্রগতি অর্জন করতে হবে,বিশ^মানের মানব সম্পদ কিভাবে গড়ে তোলার সম্ভব তা সবই রয়েছে জাতির জনকের অর্থনৈতিক দর্শনে। রাষ্ট্রীয় ভাবে দারিদ্র্য মুক্তির লড়াইয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনা শুধু বাংলাদেশেই প্রাসঙ্গিক তা নয়,পিছিয়ে পড়া অন্য জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য হতে পারে পথ নির্দেশিকা।

 

 

 

তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মজিবুর রহমান বলেছেন-

‘বাংলাদেশ আমার স্বপ্ন,ধ্যান,ধারণা ও আরাধনার ধন। আর সে সোনার বাংলা ঘুমিয়ে আছে চির অবহেলিত গ্রামের আনাচে কানাচে,চির উপেক্ষিত পল্লীর কন্দরে কন্দরে,বিস্তীর্ণ জলাভুমির আশে পাশে আর সুবিশাল অরণ্যের গভীরে। ভাইয়েরা আমার আসুন সমবায়ের যাদস্পর্শে সুপ্ত গ্রাম বাংলাকে জাগিয়ে তুলি। নব-সৃষ্টির উন্মাদনায় আর জীবনের জয়গানে তাকে মুখরিত করি’।

আমাদের সংঘবদ্ধ জনশক্তির সমবেত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলতে হবে সোনার বাংলা। এ দায়িত্ব সমগ্র জাতির,প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষের এবং তাদের প্রতিনিধিদের। তবেই আমার স্বপ্ন সার্থক হবে, সার্থক হবে শহীদের আত্মত্যাগ,সার্থক হবে মাতার অশ্রæ। রাজনৈতিক স্বাধীনতা তার সত্যিকারের অর্থ খুঁজে পাবে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাদে,আপাময় জনসাধারণের ভাগ্যোন্নয়নে। তাই গণতান্ত্রিকপদ্ধতির মাধ্যমে রুপায়িত হবে সমাজতান্ত্রিক নীতির এবং সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাবো সমবায়ের মাধ্যমে।

বঙ্গবন্ধু মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে নিয়েছিলেন বহুমূখী পরিকল্পনা, দিয়েছিলেন অর্থনীতির নতুন ফর্মুলা। তারই উদ্ভাবিত উন্নয়ন দর্শন বাস্তবে রূপ দিতে অন্যতম মৌল উপাদান হিসেবে সমবায়ের অন্তর্নিহিত শক্তি পুরোমাত্রায় ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। তাঁর দর্শন মতে, দেশে দারিদ্র্য বলে কোন শব্দ থাকবে না। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন গ্রামীন সমাজে সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশের প্রতিটি গ্রামে গণমূখী সমবায় সমিতি গঠন করা হবে, যেখানে গরিব মানুষ যৌথভাবে উৎপাদন যন্ত্রের মালিক হবেন; যেখানে সমবায়ের সংহত শক্তি গরিব মানুষকে জোতদার-ধনী কৃষকের শোষণ থেকে মুক্তি দেবে; যেখানে মধ্যবর্তী ব্যবসায়ীরা গরিবের শ্রমের ফসল আর লুট করতে পারবেনা;যেখানে শোষণ ও কোটারি স্বার্থ চিরতরে উচ্ছেদ হয়ে যাবে।

 

সর্বোপুরি বলা যায় যে,বিশ^ব্যাপী উন্নয়নের গতানুগতিক মডেল যখন একের পর এক ব্যর্থ হচ্ছে,সেখানে সমবায় বরাবরই টেকসই উন্নয়নে কাংখিত ভূমিকা পালন করছে। দারিদ্রতা দূরীকরন,মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিনির্মানে সমবায় হোক আমাদের পথ চলার প্রেরণা এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি।

 

 

বিশ^ব্যাপী উন্নয়নের গতানুগতিক মডেলগুলো যেখানে একের পর এক ব্যর্থতায় হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সমবায় বরাবরই উন্নয়নের একটি পরীক্ষিত মডেল হিসেবে আতœ প্রকাশ পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ সারা বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হচ্ছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষনা করা হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্র গুলো সমবায়ের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। 

 

বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্নিবার গতিতে এগিয়ে চলেছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। শিক্ষার প্রভূুত উন্নতি সাধিত হচ্ছে। এখন সময় সমবায় ভিত্তিক উদ্যোক্তা সৃষ্টি; সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তাই সমবায় আন্দোলনকে বেগবান করা সময়ের দাবি। দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে বিভিন্ন পেশাজীবি,শ্রমজীবি মানুষের সমবেত প্রচেষ্টায় সমবায় আন্দোলন বেগবান করার মধ্য দিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।

ছবি


 

সংযুক্তি


 

সংযুক্তি (একাধিক)